Skip to main content

এপিআই(API) কি ? এবং এর প্রয়োজনীয়তা :

এপিআই(API) কি ?
এএপিআই(API) বা Application Program Interface হচ্ছে  সফটওয়্যার তৈরির জন্য  রুটিনস, প্রোটকলস এবং বিভিন্ন টুলসের সমণ্বয় করা । অন্যভাবে বলা যায় , একটি প্রোগ্রামের সাথে অন্য একটি প্রোগ্রামের সমণ্বয় বা ডাটা আদান-প্রদান করা ।




এপিআই(API) এর প্রয়োজনীয়তা :
ধরুন আপনি একটা অ্যাপস তৈরি করলেন কিন্তু সেটা শুধুমাত্র একটি ডিভাইসে সাপোর্ট করে , তাহলে সেটি বেশি ইউজফুল হবে না । যদি আপনি আপসটি মাল্টিপল ডিভাইস বা আপারেটিং সিস্টেমের জন্য উপযোগী হয় তবেই সেটি অধিক ইউজফুল হবে ।


জনপ্রিয় এপিআই(API) সমূহ :
১) গুগল ম্যাপস এপিআই(API)
২)ইউটিউব এপিআই(API)
৩)ফেজবুক এপিআই(API)
৪) অ্যামাজন এড এপিআই(API)


উদাহরণ ও প্রয়োগ :


১) মনে করুন, আপনি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেছেন যেটি শুধুমাত্র কম্পিউটার দিয়েই ব্রাউজ করা যায় । কিন্তু বর্তমান সময়ে মানুষ আর শুধু কম্পিউটারের উপর নির্ভরশীল নয় । এমনকি সম্প্রতি জরিপে দেখা যাচ্ছে , বেশিরভাগ মানুষই এখন এন্ড্রয়েড, আইফোন, ট্যাবলেট এবং স্মার্ট ডিভাইসগুলোর উপরই বেশী নির্ভরশীল । ফলে যদি আপনার ওয়েবসাইটি এপিআই(API) ভিত্তিক হয়, তবে সেটা সব প্লাটফর্মের জন্যেই ওপেন থাকছে ।

২) কোন একটি কোম্পানি একটি প্রিন্টার তৈরি করল, কিন্তু কোন টেক্স এডিটর তৈরি করল না ।তাহলে কিভাবে সেটি কাজ করবে ? যদি তৈরি করেও তবে কয়টি অ্যপ্লিকেশনের জন্য তৈরি করবে ? বাস্তবে হাজার হাজার এপ্লিকেশন থেকেই প্রিন্ট করা যায় । এক্ষেত্রে এপ্লিকেশন এবং প্রিন্টারের কোন সম্পর্ক নেই । এখানে প্রিন্টার এবং এপ্লিকেশন একটি ইন্টারফেস বা এপিআই(API) ব্যবহার করে যোগাযোগ করে থাকে ।

৩) কেউ যদি একটা অ্যাপস তৈরি করল যেটি ইউন্ডোজ, লিনাক্স ইত্যাদি অপারেটিং সিস্টেমে চলে । এখন এটাকে যদি আপডেট ভার্সন বা অন্যকোন অপারেটিং সিস্টেমে চলতে হয় তবে ফ্রন্টএন্ড এপিআই(API) এর সাথে জুড়ে দিলেই হবে । মুল কাজ একই থাকবে শুধুমাত্র বিভিন্ন প্লাটফর্মে কাজের উপোগী হবে ।

Comments

Popular posts from this blog

জাতিভেদ ও হিন্দু সমাজ

আমার সবচেয়ে খারাপ লাগে যখন কেউ আমাকে প্রশ্ন করে যে আপনি কোন বর্ণের । এখন পর্যন্ত   আমাদের হিন্দু সমাজের   বিষবৃক্ষরুপ বর্ণপ্রথা আমাদের হিন্দু সমাজকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে । কিন্তু কি এই বর্ণপ্রথা ?   হিন্দুদের সর্বশ্রেষ্ট গ্রন্থ   গীতায় কি আছে এই বিষয়ে ? স্বয়ং ভগবান শ্রী কৃষ্ণ বলেছেন   “ চাতুবর্ণং ময়া সৃষ্টং গুনকর্মবিভাগতাঃ”   অর্থাৎ গুন ও কর্ম অনুসারে আমি চারটি বর্ণ সৃষ্টি করেছি । কিন্তু এটাতো স্বাভাবিক । আমাদের সমাজেও তো সরকার স্বীকৃত চার প্রকার কর্মচারী আছে । তাহলে এটা মানুষের জন্মের সাথে কিভাবে বার্তায় ? যুগে যুগে স্বয়ং ভগবানও তো শূদ্রের সন্মান করেছেন । শ্রী রামের মিত্র ছিল গুহক চণ্ডাল । মহাভারতে মুচির ছেলে রুহিদাস ছিল সর্বশ্রেষ্ট বৈষ্ণব । কলিযুগে ব্রহ্ম হরিদাস যবনের ঘরে লালিত হয়েছিল । এ রকম হাজারো দৃষ্টান্ত রয়েছে ।   শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু   যিনি জাতি , ধর্ম, বর্ণের কোন ভেদ রাখেন , সাবাইকে হরিনাম সংকৃত্তনে উদ্ভুদ্ধ করেছেন । তবে আমরা কেন এটা ধরে আকড়ে আছি ? পৃথীবিতে প্রমাণিত সত্য যে ,   হিন্দুধর্ম সর্বোপেক্ষা প্রচীন ধর্ম । তাহলে কেন আমাদের এই অবস্থা ?   এর সবচেয়ে যে বড় কারণ তা হচ্ছ

ক্রাশ

আজ ওকে অনেক দিন পর দেখলাম । দেখে অনেক নতুন করে মনে হল । মনে হল আমি ওর প্রেমে পড়ে গেছি । ও ছিল আমার বাল্যকালের বান্ধবী । আমি আর ও একই সাথে প্রাইমারী স্কুলে পড়তাম । প্রত্যান্ত পাড়াগায়ের স্কুল , ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যাও ছিল অত্যাল্প । যাই হোক তার মধ্যে আমার ক্রমিক নম্বর ছিল এক । আর আমার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী ছিল ও । এখন ওর নাম হয়েছে তমা । তমা খাতুন । আগে ছিল রূশনী খাতুন । পরে হাই-স্কুলে উঠে ওর নাম পরিবর্তন হয় । ওরা মুসলীম হলেও ওদের পরিবারের সাথে আমাদের পরিবারের হৃদ্যতা ছিল অনেক ভাল । আমার বড় সহদর দাদা আমাকে আর ওকে নিয়ে অনেক হাসি-তামশা করত । আর আমিও প্রচণ্ড রেগে যেতাম । একই সাথে খেলাধুলাও করতাম । সবকিছু ঠিকমত মনে নেই । আমি অনেক ইনট্রোভার্ট টাইপের মানুষ । এখন অবশ্য আমার লজ্জা অনেক কমে গেছে । কিন্তু ও আগের মতই লাজুক রয়েছে । হাইস্কুলেও একই সাথে পড়তাম কিন্তু ওর সাথে তেমন হৃদ্যতা ছিল না । তারপর নিজের ভাগ্যানুসন্ধানে  দ্বিকবিদিক ছোটাছুটি করেছি । প্রায় ওকে ভুলেই গিয়েছিলাম । আর ওকে মনে রাখার মতোও কিছু করি । আর ওর যে প্রেমে পড়া যায় এ কথা কখনোও কল্পনাও করি নি । আজ আমরা তিন বন্ধু মিলে ওদের বাড়িতে গিয়েছি

আমার ফটো গ্যালারী ।

\